হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও শিকড়ের উপকারিতা


হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম কি আমরা অনেকেই জানি না। হাতিশুর গাছ একটি মহাপ্রয়োজনীয় ঔষধি গাছ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এর উপকার অনেক। হাতিশুর গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
আজকে আমরা হাতিশুর গাছের কাজ সম্পর্কে পরিচিত হব। হাতিশুর গাছের উপকারিতা ও হাতিশুর গাছের গুনাগুন গুলো আজ আমরা জানতে পারবো। চলুন নিচে আমরা হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে  জেনে আসি। 

পেজ সূচিপত্র : হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও শিকড়ের উপকারিতা

হাতিশুর গাছের ভেষজ উপকারিতা 

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা জানবো। তার আগে আমাদের জানতে হবে হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকার কি। হাতিশুর গাছ রাস্তার  আশেপাশে আগাছা হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। ফুলগুলো সাদা রঙের এবং পাতা সবুজ রঙের হয়ে থাকে। 

হাতিশুর  একটি পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ, যা নানা চিকিৎসার ব্যবহৃত হয়। এই উদ্ভিদের পাতা ও ফুলে রয়েছে নানা  প্রকার ওষুধি গুণ। হাতিশুর গাছের সম্পর্কে আমরা এখন যে উপকারিতা গুলো বলবো তা আমাদের বিভিন্ন রকম সমস্যায় খুবই কার্যকর। নিচে সেইসব উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

  • ক্ষত নিরাময় : হাতিশুরের পাতা ক্ষত, কাটা ছেঁড়া ও পোড়ার দাগ সরাতে ব্যবহৃত হয়। পাতার রস প্রয়োগ করলে ক্ষত দ্রুত সুখায় এবং প্রদাহ কমায়। 
  • জ্বর ঠান্ডা নিরাময় : হাতি সুরের পাতার রস, কাশি এবং জ্বর কমাতে সহায়ক।  
  • বাত ও গেঁটেবাতের চিকিৎসায় : এই উদ্ভিদের পাতা ও ক্বাথ গেঁটেবাত, ব্যথা বাতের প্রদাহ নিরাময় কার্যকরী। 
  • অ্যান্টিসেপটিক ও প্রদাহনাশক : হাতিশুর অ্যান্টিসেপটিক  হিসাবে কাজ করে যা জীবাণু নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য প্রদাহ এবং ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। 
  • বিরোধী মাইক্রোবিয়াল কার্যকারিতা : হাতিশুড়ের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোবিয়াল বিরোধী উপাদান, যা বিভিন্ন সংক্রমনের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। 

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম 

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম, হাতিশুর গাছের শিকড় অনেক প্রাচীন বিশেষ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এটি বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে বাত ও অন্যান্য প্রদাহজনিত সমস্যায়।  তবে হাতিশুর গাছের শিকড়ের ব্যবহার এবং সঠিক পরামর্শের জন্য একজন আয়ুর্বেদিক বা হারবাল বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের অতিরিক্ত ব্যবহার বা ভুল ব্যবহার শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, তাই সঠিক নিয়মে ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।  সাধারণত ভেষজ চিকিৎসায় হাতিশুর শিকড়ের ব্যবহারে কিছু প্রাথমিক নির্দেশনা রয়েছে :

  • পরিমাণ : সাধারণত শিকড়ের নির্দিষ্ট পরিমাণ গুঁড়ো করে খাওয়া হয়। কিন্তু এটি নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স, শারীরিক অবস্থা এবং রোগের ধরন অনুযায়ী। 
  • পদ্ধতি : শিকড়ের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে অথবা অন্য কোন ভেষজ উপাদানের সাথে মিলিয়ে পান করা হয়। কখনো কখনো এরই নির্দিষ্ট ধরনের তেলের সাথে মিশিয়ে লাগানোও হয়। 
  • সময় : ভেষজ ওষুধ সাধারণত খাবারের আগে অথবা পরে নির্দিষ্ট সময় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এদের সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যবহারের উদ্দেশ্যের উপর।

হাতিশুর গাছের উপকারী অংশ 

হাতিশুর গাছ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি উদ্ভিদ, যার বিভিন্ন অংশ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উপকারী। এই গাছের পাতার  নির্যাসে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান পাওয়া যায় যা প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ক্ষত, ফোড়া এবং অন্যান্য প্রদাহজনিত  সমস্যায় ব্যবহৃত হয়। 

হাতিশুরের ফুল এবং পাতা বিশেষত জীবাণু নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান সংক্রমণ রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ত্বকের ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং ঘায়ের চিকিৎসায় এর নির্যাস বেশ কার্যকর। এছাড়াও হজম সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় শিকরের রস কষ্টকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের সমস্যার জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। 

এটি কাশির চিকিৎসাও কার্যকর, কারণ হাতিশুর গাছের নির্যাস শ্বাসনালের প্রদাহ কমায় এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা  হ্রাস করে। পিত্তের সমস্যা, জ্বর এবং কৃমির চিকিৎসাও হাতিশুর গাছ ব্যবহৃত হয়। 

হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা 

হাতিশুর একটি ঔষধি গাছ, যা গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই গাছের বিভিন্ন অংশ বিশেষ করে শিকড় বহু প্রকারের স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়। নিচে সেইসব উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো। 

  • বাাত ও আথ্রাইটিস এর চিকিৎসায় : হাতিশুর শিকড় প্রাকৃতিক প্রদাহনশক হিসাবে কাজ করে। শিকড়ের রস বা নির্যাস  বাত এবং আথ্রাইটিস এর ব্যথা কমাতে সহায়ক। নিয়মিত ব্যবহার এই ধরনের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। 
  • ত্বকের সমস্যার সমাধানে : হাতিশুর শিকড়ের নির্যাস ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার, যেমন ফোড়া, চুলকানি, এবং সংক্রমণ নিরাময় কার্যকর। এতে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ফাঙ্গাল গুণাবলী, যা সংক্রমণ ঠেকাতে এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। 
  • কফ ও শ্বাসকষ্টের উপশমে : হাতিশুর শিকড় কফ নিরাময় সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় প্রাচীন কাল থেকে এটি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, যেমন হাঁপানি ও ব্রংকাইটিস এর উপশমে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শিকড়ের নির্যাস শ্বাসতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসকষ্ট কমায়। 
  • বিষাক্ত দংশন ও ক্ষত নিরাময় : সাপ বা বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে হাতিশুরের শিকড় প্রয়োগ করা হয়। এর শীতলীকরণ ও প্রদাহনাশক গুণাবলী দংশনের বিষক্রিয়া হ্রাস করে এবং দ্রুত ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 
  • হজমের উন্নতিতে : শিকড়ের নির্যাস হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে এবং বদহজম, অম্বল ইত্যাদি সমস্যায় উপকারী। এটি প্রাকৃতিক লিভার টনিক হিসেবেও কাজ করে যা লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। 

হাতিশুর গাছের শিকড় কখন খাবেন 

হাতিশুর গাছের শিকড় সাধারণত খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয় না তবে আয়ুর্বেদি ও স্থানীয় চিকিৎসায়এর ব্যবহার দেখা যায়। হাতিশুর গাছের শিকড়ের মূলত ঔষধি গুণাবলীর জন্য। এটি সাধারণত পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সহায়তা হিসেবে পরিচিত। হাতিশুরের শিকড়  ব্যবহারের জন্য  সাধারণত সুস্থতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণে ও বিশেষ সময় ব্যবহার করা হয়। 
এটি সাধারণত ঔষধি চর্চার জন্য ব্যবহার হয় এবং সাধারণ খাদ্য হিসেবে না। আপনি যদি হাতিশুর গাছের শিকর ব্যবহার করতে চান তবে এটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত। সাধারণত এটি ভেষজ চায়ের মাধ্যমে বা নির্দিষ্ট ওষুধে মিশ্রণে ব্যবহার করা হয়। এর সঠিক সময় ও পরিমাণ ব্যবহার নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য অবস্থার উপর। অতএব এই শিকড়ের সঠিক ব্যবহার অসুবিধা জানার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

হাতিশুর গাছের শিকড় সাধারণত ভোর বেলায় খেতে হবে। খালি পেটে না খেলে এর কর্মক্ষমতা নষ্ট  হয়ে যায়।সকালেই পাতা খালি পেটে খেলে পরবর্তীতে প্রচন্ড পরিমাণে পানি সেবন করতে হবে। সকালে হাতিশুর গাছের শিকড় বের করে তা পানিতে গরম করে যদি মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় তবে আর উপকার পাওয়া সম্ভব।  

হাতিশুর গাছের শিকড় থেকে যৌন সমস্যার সমাধান 

হাতিশুর গাছের শিকড় প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে এ গাছের শিকড়ের যৌন সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের দাবি করা হয়। হাতিশুর গাছের শিকড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন থাকে যার শরীরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে। 

যৌন সমস্যার জন্য হাতিশুর গাছের শিকড়ের মূল উপাদান গুলোর মধ্যে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস যার হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি শরীরের স্ট্রেস স্তর কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়ক হতে পারে যা যৌন উত্তেজনার সহায়ক ভূমিকা পালন করে। 

তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করার আগে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ কিছু গাছের প্রভাব ব্যক্তি ভেদে পরিবর্তিত হতে পারে এবং কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। হাতিশুর গাছের শিকড়ের ব্যবহার এবং এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন। 

হাতিশুর গাছের মূল খাওয়ার উপকারিতা 

হাতিশুর গাছের মূল যা অনেক ক্ষেত্রে 'সিলভার টিম্বার' বা জিম্পলন নামে পরিচিত ভারতীয় উপমহাদেশে ঐতিহ্যগত ঔষধি গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মূল এর বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রথমত, হাতিশুর গাছের মূল প্রাকৃতিক আন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন প্রদাহজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়। 

দ্বিতীয়ত এটির মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস শরীরে টক্সিন দূর করতে এবং সেলুলার ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, যা ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে। এর তৃতীয় উপকারিতা হল হজম ক্ষমতা উন্নত করে। হাতিশুর গাছের মূল হজমে সহায়ক এবং পেটের সমস্যা গুলির সমাধান করতে সাহায্য করে। এটি কষ্টকাঠিন্য, গ্যাস, এবং অন্যান্য পাচনতন্ত্রের সমস্যার জন্য উপকারী হতে পারে। 

হাতিশুর গাছের পাতার উপকারিতা 

হাতিশুর গাছের পাতা নানা ধরনের উপকারিতা প্রদান করে। এই পাতার এন্টি অক্সিডেন্ট গুণ শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল্যাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে যা কোষের ক্ষতি কমায় এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া হাতিশুর পাতার অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে, যা আথ্রাইটিস ও অন্যান্য প্রদাহ জনিত সমস্যার ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে।  

হাতিশুর পাতার মধ্যে থাকা নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল যেমন ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি হজমের সমস্যা ও সমাধান করতে সহায়তা করে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে এটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। 

এছাড়া হাতিশুর পাতা বিভিন্ন ত্বকের সমস্যার জন্য উপকারী। এটি ত্বকের প্রদাহ এবং সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে এবং স্লো-ব্রেকআউট বা ব্রণ কমাতে ব্যবহৃত হতে পারে। মোটকথা, হাতিশুর গাছের পাতা একটি বহু ব্যবহৃত এবং উপকারী ঔষধি গাছের অংশ যা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক থেকে উপকারে আসে। 

হাতিশুর গাছের উপকারিতা 

হাতিশুর গাছ এর কিছু অপকারিতা রয়েছে, যা মূলত এর বিষাক্ত গুণের কারণে হয়ে থাকে। এই গাছটির মধ্যে উপস্থিত আরিস্টোলিচিক অ্যাসিড মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্রধানত হাতিশুর গাছের উপাদান গুলি কিডনি, লিভার এবং হৃদ যন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। 
প্রথমত, হাতিশুর গাছের থেকে তৈরি কিছু ঔষধ বা চা দীর্ঘমেয়াদে কিডনি এবং লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে যা গম্ভীর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এছাড়াও, এটি হৃদরোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে হাতিশুর গাছের ব্যবহার কিডনি ফেইলিওর এবং লিভার ডিজিজের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। 

যেহেতু এই গাছের বিষাক্ত উপাদান শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে প্রভাবিত করে তাই এটি চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। হাতিশুর গাছের অতিরিক্ত ব্যবহার বা অস্বাভাবিক ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। 

হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম বিষয়ে লেখকের শেষ কথা

এতক্ষণ আমরা হাতিশুর গাছের শিকড় খাওয়ার নিয়ম ও হাতিশুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা সম্পর্কে যা যা জানলাম তা অবশ্যই আপনাদের সবার কাছে খুবই স্পষ্ট হয়েছে। নিশ্চয় পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে বা রোগে পড়লে হাতিশুর কাছে শিকড়ের মূল পাতা ব্যবহার করে রোগের সমাধান পাবেন। 

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানার উপায় ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url