দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার ১০ টি উপায় জানুন

দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে ইচ্ছুক? দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায় সম্পর্কে আপনি কি অবগত আছেন?  যদি না থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটা আপনার জন্যই। 
দাঁতের-পাইরিয়া-থেকে-মুক্তি-পাওয়ার-উপায়

আমরা নিচে আরো আলোচনা করবো: দাঁতের পাইরিয়া রোগ, দাঁতের পাইরিয়া কেন হয়, দাঁতের পাইরিয়া রোগের লক্ষণ, দাদার বাইরেিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়, দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায় ইত্যাদি। 

পেজ সূচিপত্র ঃ দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

দাঁতের পাইরিয়া রোগ 

দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানার আগে আপনাকে জানতে হবে দাঁতের পাইরিয়া আসলে কি?  দাঁত ও মাড়ির একটি প্রদাহজনিত রোগ হলো পাইরিয়া। এ রোগের মূল কারণ হলো মাড়ির নিচে ব্যাকটেরিয়া জমে থাকা, যা ধীরে ধীরে মারি ও দাঁতের সংযোগস্থলে প্রভাব ফেলে। প্রথম দিকে দাঁতে হালকা প্রদাহ এবং রক্তপাত হয় কিন্তু যথাযত চিকিৎসা না করালে এটি দাঁতের শিকড়ে গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। 

এর ফলে দাঁত আলগা হয়ে যায় এবং পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাইরিয়া লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে দাঁতের গোড়ার ব্যথা, মাড়ি থেকে পুঁজ পড়া, মুখে দুর্গন্ধ এবং চিবাানোর সময় অস্বস্তি। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করা, মিষ্টি বা কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের অভ্যাস, ধূমপান বা তামাকদ্রব্য সেবন ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হয়। 

দাঁতের পাইরিয়া কেন হয় 

দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় জানার আগে জেনে রাখা উচিত আমাদের পাইরিয়া রোগ কেন হয়। দাঁতে পাইরিয়া রোগ হওয়ার প্রধান কারণ হলো দাঁতের যত্ন কম নেওয়া এবং অবহেলা করা। আমাদের দেশে দরিদ্র অর্থসামাজিক অবস্থা বিশাল জনগোষ্ঠীর সিংহভাগ দাঁতের ব্রাশ এবং দাঁত মাজার পেস্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকে। ফলে তারা পেস্টের পরিবর্তে আঙ্গুল এবং আঙ্গুলের ডগায় ছাই দিয়ে দাঁত ঘষে। 

ফলে দাঁতের এনামেল এবং মাড়ি উভয়েরই ক্ষতিসাধন হয়। প্লাক পরিষ্কার না হলে সেটি শক্ত হয়ে ক্যালকুলাস বা টার্টারে রিণত হয় এবং মাড়ি সংক্রমণ সৃষ্টি করে। সাধারণত রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ না করলে এবং দাঁতের ফাঁক থেকে নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। আবার অনেকের দাঁতের মাড়ি সমান থাকে না এবং এলোমেলো সজ্জিত থাকে পরিষ্কার রাখাটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাতে পাইরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

দাঁতের পাইরিয়া রোগের লক্ষণ 

দাঁতের পাইরিয়া রোগ, যেটা সাধারণত গাম ডিজিজ বা পেরিওডন্টাল হিসেবে পরিচিত, মূলত দাঁত ও মাড়ির মাঝে থাকা সংক্রমণজনিত এক ধরনের জটিল রোগ। সময় মত চিকিৎসা না করলে তাতে ইনফেকশন হয়ে যায়। আপনি কি কি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার দাঁত আয় এরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক..... 

১। দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া পাইরিয়ার একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি মাড়িতে প্রদাহের কারণে ঘটে যা রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা দেয়। 

২। সুস্থ মাড়ির রং সাধারণত হালকা গোলাপি হয়, কিন্তু পাইরিয়ার কারণে মাড়ি লাল যে এবং ফুলে যেতে পারে। এছাড়া মাড়ি স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভব হওয়া এবং অসস্তি দেখা দিতে পারে। 

৩। পাইরিয়া মাড়ির টিস্যুকে দুর্বল করে তোলে, যার ফলে দাঁতের মাড়ি থেকে আলগা হতে থাকে। এটি অনেক সময় দাঁতের শিকড় প্রকাশের কারণ হতে পারে এবং মারাত্মক পর্যায়ের দাঁত হেলে বা পড়ে যেতে পারে। 

৪। মাড়ি সংক্রমণের ফলে মুখে এক ধরনের দুর্গন্ধ দেখা দেয়, যা মুখের ভিতর জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্টি হয়। নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করার পরও এই দুর্গন্ধ স্থায়ী হলে এটি পাইয়েরিয়া রোগের লক্ষণ হতে পারে। 

৫। গুরুতর পর্যায়ে মাড়ি থেকে হলুদ বা সবুজ রঙের পুঁজ নির্গত হতে পারে। এটি মাড়িতে গভীর সংক্রমণের কারণে হয় যা প্রায়শই ব্যাথার সাথেও যুক্ত থাকে। 

৬। মাড়ি ও দাঁতের মধ্যকার সংযোগ দুর্বল হয়ে গেলে সেখানে ফাঁকা সৃষ্টি হয়, যা খাবার জমা ও ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি সহজ করে। এটি সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয় এবং মুখের অন্যান্য অংশ সংক্রমণ ছড়াতে পারে। 

উপরোক্ত লক্ষণ গুলি হলে বুঝবেন আপনার পাইরিয়া হয়েছে। পাইরিয়া রোগের চিকিৎসা সময়মতো না করলে এটি নারী ও দাঁতের আশেপাশের হাড়ের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই নিয়মিত মুখের যত্ন এবং দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় 

দাঁতে পাইরিয়া  থেকে মুক্তি পাওয়ার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যা আমরা অনেকেই জানিনা। পাইরিয়া রোগের উপরিউক্ত লক্ষণগুলি যদি আপনার দাঁতে আপনি অনুভব করেন তাহলে এর থেকে মুক্তি পেতে কিছু পদক্ষেপ রয়েছে তা আপনি অনুসরণ করতে পারেন। নিচে পদক্ষেপগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
দাঁতের-পাইরিয়া-থেকে-মুক্তি-পাওয়ার-উপায়

  • নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন: সকালে এবং রাতে দাঁত ব্রাশ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাশ করার সময় অন্তত দুই মিনিট ধরে ব্রাশ করুন এবং দাঁতের সব অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। 
  • ফ্লস ব্যবহার করুন: দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্য কণা ফ্লস দিয়ে সরিয়ে ফেলুন। নিয়মিত ফ্লসিং মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক। 
  • মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন: মাউথওয়াশ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে। অ্যান্টিসেপটিক মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। 
  • লবন পানি দিয়ে কুলি করুন: গরম লবণ পানি গুলি মাড়ির প্রদাহ ও ব্যথা দূর করতে কার্যকর। প্রতিদিন অন্তত দুবার লবণ পানিতে কুলি করুন। 
  • আয়ুর্বেদিক উপায়ে তেল টানা: নারিকেল বা তিল তেল মুছে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট কুলি করুন। এটি ব্যাকটেরিয়া কমা এবং মাড়ির স্বাস্থ্য রক্ষা করে। 
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান: ফল, শাকসবজি এবং দুধ নারীর স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে মাড়ির প্রদাহ কমে। ভিটামিন সি গ্রহণ করুন: ভিটামিন সি মাড়ির শক্তি বাড়ায় এবং প্রদাহ কমায়। তাই আম, কমলা,পেঁপে ইত্যাদি খেতে পারেন। 
  • ধূমপান ও তামাক থেকে বিরত থাকুন: ধূমপান নারীর রূপকে আরও দাঁড়িয়ে তোলে। তাই এড়িয়ে চলুন। 
  • নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান: প্রতি ছয় মাস পর পর ডেন্টিস্টের কাছে যান এবং দাঁতের সমস্যার জন্য পরীক্ষা করুন। 
  • মাড়ির মেসেজ করুন: হালকা হাতে মাড়ির মেসেজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং নারী সুস্থ থাকে। 
এছাড়াও দাঁতের সঠিক তথ্য নিলে এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অনুসরণ করলে মুক্তি পাওয়ার সহজ হয়। আশা করি উপরোক্ত পদক্ষেপ অনুযায়ী রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। 

দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়  

আপনি যদি আপনার দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করতে চান তাহলে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে যেমন - ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস জাতীয় খাবার। আর পাশাপাশি নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করে মাড়িকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি আপনাকে পরিত্যাগ করতে হবে। দাঁতের মাড়ি ভালো না থাকলে আপনাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয় ঠিকমতো পারেন না, চিবোতে পারেন না এছাড়াও আরো নানান রকম সমস্যা তো রয়েছেই। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে চিনে নেওয়া যাক আপনি কিভাবে আপনার দাঁতের মাড়িকে আরো শক্তিশালী করে তুলবেন। 

  • সঠিক ব্রাশিং ও ফ্লসিং: প্রতিদিন দুইবার দাঁত ব্রাশ করা এবং ফ্রশ ব্যবহার করা নারীকে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত জরুরী। দাঁতের চারপাশে জমে থাকা খাবার ও ব্যাকটেরিয়া ফ্লসের মাধ্যমে  সরানো হলে মাড়ি শক্ত ও সুস্থ থাকে।  
  • লবণ পানির কলকুচি: লবন পানি দিয়ে কুলকুচি করা একটি প্রাচীন এবং কার্যকর পদ্ধতি। লবণের অ্যান্টিসেপটিক গুণ মাড়ির প্রদাহ কমায় এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এক গ্লাস গরম পানিতে আধা চামচ লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করা যেতে পারে। 
  • তেল টান: নারিকেল, তিল বা অলিভ অয়েল তেল টান করা মাড়ীর জন্য অত্যন্ত উপকারী। তেলের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী গুন মাড়ির সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১০-১৫ মিনিট তেল মুখে নিয়ে কুলকুচি করে পরে ফেলে দিতে হবে। 
  • সুস্থ খাদ্যভ্যাস: সুষম খাদ্যভ্যাস মাড়ির স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল যেমন লেবু, কমলা, আমলকি এবং সবুজ শাকসবজি মাড়ির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। এতে মাড়ির ক্ষয়রোধ হয়। 
  • ধূমপান ও মিষ্টি খাবার এড়ানো: ধূমপান মাড়ির জন্য ক্ষতিকর, এটি মাড়ির কোষ ক্ষয় করে এবং রক্ত সঞ্চালন কমায়। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি খেলে নারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে। 

দাঁতের পাইরিয়া প্রতিরোধে যা এড়িয়ে চলবেন 

দাঁতের পাইরিয়া দূর করতে আপনাকে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি কি জানেন কফি, চা,তামাক এলকোহল বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড দাঁতের জন্য এবং দাঁতের মাড়ির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই ধরনের খাবার আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে যদি দাঁতকে সুস্থ রাখতে চান। দাঁতের পাইরিয়া প্রতিরোধে আরো কিছু উপায় চলুন জেনে নেওয়া যাক... 
দাঁতের-পাইরিয়া-প্রতিরোধে-যা-এড়িয়ে-চলবেন

  • অতিরিক্ত চিনি দাঁতের উপর প্লাক তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি মাড়ির সংক্রমণ বাড়ায় এবং পাইরিয়া হতে পারে। 
  • ধূমপান ও তামাক মাড়ির রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয় যা মাড়ির সংক্রমণকে তুরান্বিত করে। 
  • অ্যালকোহল মাড়িকে শুষ্ক করে তোলে এবং মুখের জীবাণুর ভারসাম্য নষ্ট করে যা সংক্রমনের ঝুঁকি বাড়ায়। 
  • কঠিন ও আঠালো খাবার মাড়ির ক্ষতি করতে পারে এবং দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে থাকতে পারে যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। 
  • পানি কম খেলে মুখ শুষ্ক হয়ে যায় এবং দাঁতের প্লাক জমার প্রবণতা বাড়ে। 
  • দৈনিক দুবার দাঁত ব্রাশ এবং একবার ফ্লস করা অত্যন্ত জরুরী যা নারী ও দাঁতকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। 
এই অভ্যাসগুলো মেনে চললেই ডায়রিয়া ও নারীর অন্যান্য সমস্যার ঝুঁকি অনেক অংশে কমানো সম্ভব। 

পাইরিয়া দূর করতে যা খাবেন 

দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন ডায়রিয়া দূর করতে রোজকার খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। চলুন সে খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে আসি। 

  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: লেবু, কমলা, আমলকি, পেঁপে ইত্যাদি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে মাড়ি শক্তিশালী হয় এবং প্রদাহ কমে। 
  • ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার: মাছ ডিম দুধ ইত্যাদি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দাঁত এবং মাড়িকে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। 
  • ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার: ক্যালসিয়াম দাঁত এবং মাড়ির গঠনে সহায়ক, তাই দুধ, দই, ছানা, বাদাম ইত্যাদি খেলে মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। 
  • সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, ব্রকলি, কেল ইত্যাদি সবুজ শাকসবজির দাঁত এবং মাড়ির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। 
  • পানি: বেশি করে পানি পান করলে মুখের লালার প্রবাহ বাড়ে এবং ব্যাকেরিয়া দূর হয় যা মাড়ির সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। 

শেষ কথা: দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় 

দাঁতের পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়েছেন। আমরা অনেকেই মনে করি, যত জোরে ব্রাশ করা যাবে তত তাই বেশি পরিষ্কার হবে। কিন্তু এই কথাটা একেবারেই ভুল। আপনি জেনে রাখুন ২ মিনিট ভালোভাবে ব্রাশ করলেই আপনার দাঁতের জন্য তা যথেষ্ট। বেশি জোর দিয়ে ব্রাশ করতে গেলে অনেক সময় দাঁত এবং মাড়ির সংযোগস্থল ক্ষয় হয়ে যায় যার ফলে স্থানগুলো সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। 

ফলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই পাইরিয়া রোগটির প্রবণতা আমাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। দাঁতের এই পাইরিয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবাই দাঁতের যত্ন নিন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানার উপায় ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url