মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং মাখার নিয়ম

মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা ব্যবহার করার আগে জেনে নেওয়া উচিত। আমরা সাধারণত আমাদের মুখের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধি করার জন্য কাঁচা হলুদ ব্যবহার করি। কিন্তু কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা রাখি না। আজকের এই আর্টিকেলে মুখে হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং মাখার নিয়ম  সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
মুখে-কাঁচা-হলুদের-উপকারিতা-অপকারিতা-এবং-মাখার-নিয়ম
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মুখে হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং মাখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মুখে কাঁচা হলুদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

পেজ সূচিপত্র ঃ মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং মাখার নিয়ম

মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা 

আমরা এখন মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে জানবো, সাধারণত হলুদ আমরা রান্না করার কাজে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু হলুদের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। কাঁচা হলুদ যার বৈজ্ঞানিক নাম Curcuma longa, আয়ুর্বেদ এবং প্রাচীন চিকিৎসাশাস্ত্র বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধি মসলা। হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান হলো তার কারকিউমিন, যা হলো তোর পুষ্টিগুণ এবং ঔষধি বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। বিশেষ করে মুখের ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদ একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। মুখে কাঁচা হলুদের ব্যবহারের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো। 
১। প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক এবং আন্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান : কাঁচা হলুদের কারকিউমিন আন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ক্ষত, ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং সংক্রমণজনিত সমস্যা করে চিকিৎসায় এটি অত্যন্ত কার্যকর। কাঁচা হলুদ মুখের ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং জীবনু ধ্বংস করতে সাহায্য করে, ফলের ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল থাকে। বিশেষ করে ব্রণের জন্য হলুদ খুবই উপকারী কারণ এটি ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং ত্বকের লালচে ভাবকমায়। 

২। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি : কাঁচা হলুদ মুখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে  সাহায্য করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ পূনর্গঠন করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক উজ্জল  এবং মসৃণ হয়। 

৩। বয়সের ছাপ দূরীকরণ : হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের মুক্ত মৌল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল ত্বকের কোলাজেন ভেঙ্গে দেয় এবং ত্বকে বলিরেখা, ফাইন লাইন এবং অন্যান্য বয়সের ছাপ তৈরি করে। কাঁচা হলুদ এই ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের থেকে ত্বকের রক্ষা করে এবং ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক দীর্ঘমেয়াদ তরুণ এবং মসৃণ থাকে। 

৪। তবে শুষ্কতা এবং রুক্ষতা দূরীকরণ : কাঁচা হলুদ ত্বকের শুষ্কতা এবং রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং উপাদান রয়েছে যা ত্বকের  আদ্রতা ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বকের জন্য কাঁচা হলুদের সাথে মধু বা দই মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বককে গভীরভাবে ময়শ্চারাইজ করে এবং ত্বকের মসৃণতা বজায় রাখে। 

৫। ব্রণ ও দূরীকরণ : কাঁচা হলুদ ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়ক। এর এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, ফলে ব্রণ কমে যায় এবং ত্বকে কোন রকম প্রদাহ সৃষ্টি হয় না। নিয়মিত হলুদের ব্যবহার ত্বকের বর্ণের দাগ, পিগমেন্টেশন এবং কালো দাগ দূর করতে ত্বকের সমান রং ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। 

৬। মুখের ত্বকের টোন সমানকরণ : কাঁচা হলুদ ত্বকের অসমম টোন দূর করতে সাহায্য করে। মুখের বিভিন্ন স্থানে পিকমেন্টেশন বা মেলানিনের কারণে ত্বকের রং অসম হতে পারে। হলুদ ত্বকের রং সমান করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। 

৭। মুখের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি : হলুদ ব্যবহারের মাধ্যমে মুখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় যা ত্বকে স্বাস্থ্যকর রাখে। ত্বকের কোষ গুলোতে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছায়, ফলে পথ প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল হয়। 

মুখে কাঁচা হলুদের অপকারিতা 

যে উপাদানের উপকারিতা রয়েছে তার কিছু অপকারিতা রয়েছে। আমরা যেহেতু নিয়মিত আমাদের মুখে হলুদ ব্যবহার করি তাই আমাদের মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা জানার পাশাপাশি আমাদেরকে কাঁচা হলুদের অপকারিতা সম্পর্কেও জেনে নিতে হবে। নিচে কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

১। অ্যালার্জি  বা জ্বালা : অনেকের ত্বকে কাঁচা হলুদ ব্যবহারে এলার্জি দেখা দিতে পারে। এর ফলে তোকে চুলকানি, র্যাস, বা লালচেভাব হতে পারে। 
২। ত্বক শুষ্ক হওয়া : কাঁচা হলুদ দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকে লাগিয়ে রাখলে ত্বক শুষ্ক বা টানটান হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যদি ত্বক স্বাভাবিকভাবে শুষ্ক হয়। 
৩। ত্বক পুড়ে যাওয়া : খুব বেশি সময় ধরে বা অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করলে কিছু মানুষের ত্বকে পুড়ে যাওয়ার মত অনুভূতি হতে পারে। 
৪। দাগ পড়া : কাঁচা হলুদ মুখে ব্যবহার পরে ত্বকে হলুদ দাগ পড়ে যেতে পারে যা সহজে দূর হয় না। বিশেষ করে ফর্সা ত্বকে এ দাগ অনেক বেশি স্পষ্ট হতে পারে। 
৫। রোদে সংবেদনশীলতা : হলুদ ব্যবহারের পর রোদে বের হলে ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। এতে ত্বকে সানবার্ন বা অন্যান্য ক্ষতি হতে পারে। 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদ ব্যবহার 

আমরা সাধারণত আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য যে সকল উপাদান ব্যবহার করে থাকি এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হলুদ। বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণা দেখা গিয়েছে যে ত্বকের যত্নে হলুদ ব্যবহারের তেমন কোন বিকল্প নেই। বিশেষ করে যদি আপনি প্রাকৃতিক ভাবে আপনার মুখে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই হলুদ ব্যবহার করতে হবে।
তোকে উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলুদের কিছু ঘরোয়া প্যাক খুবই কার্যকর। একটি সাধারণত প্যাক তৈরি করতে এক চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চামচ মধু, এবং সামান্য দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে পারেন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

আমাদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে হলুদ। সাধারণত এর জন্য আপনাকে দুই চামচ টক দই, এক চামচ চালের গুড়া এবং এক চামচ মধু এর সাথে দুই চামচ হলুদ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে চোখের নিচে ব্যবহার করতে পারেন। ২০ মিনিট রাখার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে। 

হলুদ ও বেসনের সংমিশ্রণ ত্বকের জন্য উপকারী। এক চামচ বেসন, আধা চামচ হলুদ এবং সামান্য গোলাপজল মিশিয়ে তৈরি পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তবে, হলুদ ব্যবহারের আগে কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। 

হলুদ অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ত্বকে হলুদ দাগ পড়তে পারে যা সময় নিয়ে দূর হয়। ত্বক সংবেদনশীল হলে আগে সামান্য অংশে ব্যবহার করে পরীক্ষা করে নিন। এছাড়া বাজার থেকে কেনা প্রসাধনী হলুদে অতিরিক্ত রাসায়নিক থাকতে পারে তাই প্রাকৃতিক হলুদ ব্যবহার করাই ভালো। 

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হলুদ ব্যবহার 

হলুদ বিশেষত কাঁচা হলুদ বা হলুদ গুড়া তার ঔষধি গুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকে জনপ্রিয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সাধারণত আমরা বিভিন্ন ধরনের উপাদান আমাদের ত্বকে ব্যবহার করে থাকি। এখন আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে আপনার ত্বকের জন্য নিতে চান এবং আপনার ত্বক সুন্দর করতে চান তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে হলুদ ব্যবহার করুন। 
রাতে-ঘুমাতে-যাওয়ার-আগে-হলুদ-ব্যবহার
এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ নাশক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ, যা শরীরের শিথিলতা আসে ঘুমের মান উন্নত হয় এবং মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। হলুদের কারকিউমিন উপাদান মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক, ফলে অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে পারে। রাতে এক গ্লাস উষ্ণ দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খেলে ঘুমের আগে আরামদায়ক অনুভূতি তৈরি হয় এবং শরীর দ্রুত ঘুমাতে প্রস্তুত হয়। 

তাছাড়া হল ত্বকের জন্য উপকারী। ঘুমের আগে মুখে হলুদের প্যাক লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং ব্রণ বা ফুসকুড়ির মত সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করে। তবে অতিরিক্ত হলুদ ব্যবহারে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে তাই পরিমিতভাবে ব্যবহার করা উচিত। 

মুখে হলুদ দিলে জ্বলার কারণ :

মুখে হলুদ দিলে কিছু মানুষের ত্বকের জ্বলা বা অস্বস্তি অনুভূত হতে পারে যা সাধারণত বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে। হলুদে থাকা সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন হলো এক ধরনের এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রদাহনাশক যৌগ যা ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে কারকিউমিন ত্বকের সংবেদনশীলতার কারণেও জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া হলুদ ব্যবহারের সময় যদি ত্বক পরিষ্কার না থাকে বা ত্বকে খোলা ক্ষত থাকে, তাহলে তা জ্বালা বাড়াতে পারে। 

ত্বক যদি শুষ্ক বা সংবেদনশীল হয়, তাহলে হলুদ প্রয়োগে অস্বস্তি  দেখা দিতে পারে। তাছাড়া, কিছু মানুষের ত্বকে হলুদের এলার্জি থাকতে পারে, যা লালচে দাগ, চুলকানি বা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক সময় হলুদের মিশ্রিত উপাদান, যেমন লেবুর রস বা অন্য কোন অ্যাসিডিক পদার্থ ত্বকের জ্বালা বাড়াতে পারে। তাই ত্বকের ধর্ম অনুযায়ী হলুদ ব্যবহারের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। 

হলুদ আর মধু মুখে দিলে কি হয় :

হলুদ এবং মধু একসঙ্গে ব্যবহার করলে বিভিন্ন প্রকার উপকার পাওয়া যায়, বিশেষ করে ত্বক এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে। হলুদে থাকা কারকিউমিন, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদানশক উপাদান। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সহায়ক এবং ব্রণ বা অন্যান্য ত্বকের সমস্যার জন্য কার্যকর হতে পারে।  
মধু একটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার, যা ত্বককে আদ্র রাখে এবং জীবাণুরোধী গুণাবলীও আছে। ফলে মধু ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তখন হলুদ এবং মধু একসঙ্গে মুখে লাগানো হয়, এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের বয়সজনিত ক্ষতগুলো হ্রাস করে। এই মিশ্রণ ত্বকে নরম করে এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে। 

এছাড়া এটি সুক্ষ রেখা এবং বলিরেখা প্রতিরোধেও কার্যকর। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের টোন উন্নত হতে পারে। স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও এই মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়ার ক্ষেত্রে, মধু এবং হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, গলা ব্যথা এবং সর্দি কাশির উপশমে সহায়ক। এটি হজম শক্তি বাড়ায় এবং দেহের প্রদাহ কমাতে সহায়ক। 

মুখে কাঁচা হলুদ মাখার নিয়ম 

মুখে কাঁচা হলুদ মাখার নিয়ম প্রাচীন আয়ুর্বেদ রূপচর্চার একটি অংশ। কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টিসেপটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এখানে মুখে কাঁচা হলুদ মাখার সঠিক নিয়ম দেয়া হলো :
মুখে-কাঁচা-হলুদ-মাখার-নিয়ম
উপাদান :
১। কাঁচা হলুদ (১-২ চামচ) 
২। বেসন /চালের গুড়া (১-২ চামচ) 
৩। দই বা দুধ (১-২ চামচ) -শুষ্ক ত্বকের জন্য 
৪। গোলাপজল - তৈলাক্ত ত্বকের জন্য 

নিয়ম :
  • কাঁচা হলুদ বাটা : কাঁচা হলুদ বেটে বা গুঁড়ো হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। 
  • মিশ্রণ তৈরি : কাঁচা হলুদ, বেসন বা চালের গুড়া ও ত্বকের ধারণা অনুযায়ী দই /দুধ /গোলাপজল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। 
  • মুখ পরিষ্কার করুন : পেস্ট মাখার আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন যাতে ময়লা বা তেল না থাকে। 
  • মুখে মাখা : পেস্টটি সমানভাবে মুখেও গলায় মাখুন।চোখ ও ঠোঁটের চারপাশ এড়িয়ে চলুন। 
  • শুকতে দিন : ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না পেস্টটি শুকিয়ে যায়। 
  • পরিষ্কার করুন : কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। হালকা হাতে গোলাকার মুভমেন্টের ম্যাসাজ করতে পারেন। 
  • ময়েশ্চারাইজার লাগান : মুখ ধোয়ার পর একটি মৃদু মশ্চারাইজার লাগান। 

সতর্কতা :

যদি আপনার তো খুব সংবেদনশীল হয়, তাহলে হলুদ মাখার আগে হাতে বা কানের পেছনে অল্প পরিমাণে পরীক্ষা করে নিন। 
হলো তোকে দাঁত ফেলতে পারে তাই পেস্ট হওয়ার পরে ঠান্ডা গোলাপ জল দিয়ে মুখ মুছে নিলে দাগ কমবে। 

শেষ কথা : মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং মাখার নিয়ম 

মুখে কাঁচা হলুদের উপকারিতা অপকারিতা এবং হলুদ মাখার নিয়ম সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমরা হলুদ আমাদের ত্বকের নিয়মিত ব্যবহার করি তাই অবশ্যই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে জেনে রাখতে হবে। আমার প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানার উপায় ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url