সিরাজউদ্দৌলা নাটক - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব

আপনি কি সিরাজউদ্দৌলা নাটক সম্পর্কে জানতে চান? আজকের এই পোস্টে আমরা সিরাজউদ্দৌলা নাটক সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব কি সে সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় একটি নাটক হলো সিরাজউদ্দৌলা নাটক। 
সিরাজউদ্দৌলা-নাটক-সিরাজউদ্দৌলা-নাটকের-মূলভাব

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সিরাজউদ্দৌলার নাটক সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে কিছু তথ্য। 

পেজ সূচিপত্র ঃ সিরাজউদ্দৌলা নাটক - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব

সিরাজউদ্দৌলা নাটক 

আজকে আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হলো সিরাজউদ্দৌলা নাটক। সিরাজউদ্দৌলা নাটকটি একজন বীর ও প্রতাপশালী শাসক, নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবন ও সংগ্রামের কাহিনী অবলম্বনে রচিত একটি ঐতিহাসিক নাটক। নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন, যিনি ইংরেজদের সঙ্গে বাঙালির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন। নাটকটিতে তার শাসনামল, চক্রান্ত এবং তার পতনের ঘটনাবলী চরিত্রাহিত করা হয়েছে। 
নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, নবাব সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফর সহ তার ঘনিষ্ঠ মহলের বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার হন। ইংরেজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মীরজাফর ও অন্যান্য দেশদ্রোহীরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন ঘটে, যা বাংলা তথা উপমহাদেশে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক গভীর প্রভাব ফেলে। নাটকটি সেইসময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ভ্রাতিত্ব ও দেশপ্রেমের মূল্য এবং দেশদ্রোহীদের কুৎসিত চেহারা ফুটিয়ে তোলে। 

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মাধ্যমে নাট্যকার মূলত দেশ প্রেম ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে মানুষের সচেতন করতে চেয়েছেন। সিরাজউদ্দৌলার সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশ প্রেমের মহান দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। নাটকটি আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আজও দর্শকদের হৃদয় দেশপ্রেমো ইতিহাসের বোধ জাগ্রত করে। 

সাধারণত সিরাজউদ্দৌলা নাটক এ প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন এখন আমরা সিরাজউদ্দৌলা নাটক সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নেই। 

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক কে 

আমরা সিরাজউদ্দৌলা নাটক পড়ে থাকলেও এর লেখক কে এটা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। একসময় সিরাজউদ্দৌলা নাটকটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল  বাংলার মানুষের কাছে। আগে যাদের ঘরে টিভি ছিল তারা এ নাটকটি দেখেছেন এবং যাদের ঘরে রেডিও ছিল তারাই নাটকটি শুনেছেন। এই নাটকটি এখনো বাংলার জনগণের মনে দাগ কেটে আছে। 

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখককে অবশ্যই আপনাদের জানা উচিত। সিরাজউদ্দৌলা নাটকের লেখক হলেন সিকান্দার আবু জাফর। সিকান্দার আবু জাফর মাসিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদনা করে স্মরণীয় হয়ে আছেন। সেকেন্দার আবু জাফরের পেশা ছিল সাংবাদিকতা। এ নাটকটি তিনি রচনা করেন ১৯৬৫ সালে। 

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র কয়টি 

উপরে আমরা সিরাজউদ্দৌলা নাটক এবং লেখকের সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা এখন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানবো। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো সিরাজউদ্দৌল নাটকের চরিত্র কয়টি ছিল। সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র সংখ্যা ছিল ৩৯ টি। নিচে বিশেষ কয়েকটি নাম উল্লেখ করা হলো :

আলীবদ্দি খাঁ
আমিনা বেগম 
রাইসুল জুহালা 
লুৎফুন্নেসা 
সিরাজউদ্দৌলা 
মোহনলাল 

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কারণ

বাংলাদেশের স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন ইতিহাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। তার পতনের কারণগুলো বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত বিষয় থেকে উদ্ভূত। নিজে তার পতনের প্রধান কারণগুলো তুলে ধরা হলো:

অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতা:
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের প্রধান কারণ ছিল তার নিজ দলের মধ্যে বিশ্বাসঘাতকতা। তার সেনাবাহিনীর মীরজাফর সহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এবং জমিদাররা ব্রিটিশদের সঙ্গে যোকসাযোশ করেছিলেন। মীরজাফর, যিনি নবাবের ক্ষমতার একটি বড় অংশ ধরে রাখতে চেয়েছিলেন, ব্রিটিশদের সহায়তায় সিরাজকে পরাস্ত করা ষড়যন্ত্রে অংশ নেন। মীরজাফরের নেতৃত্বে মীর মদন, রাজবল্লভ এবং অন্যান্য ক্ষমতালোভী কর্মকর্তারা সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন জার্সিরাজের পতন তুরান্বিত করে। 

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উচ্চাকাঙ্ক্ষা:
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় সুবিধা বিস্তৃত করতে চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে আগ্রহী ছিল। সিরাজউদ্দৌলা কোম্পানির এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও অনধিকার প্রবেশের বিরোধিতা করেন, যা কোম্পানির ক্ষোভের কারণ হয়। কোম্পানির নবাবের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে এবং সিরাজকে পরাজিত করার জন্য মীর জাফরকে ব্যবহার করে। কোম্পানির লোভী মনোভাব সিরাজের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের রূপ নেয়। 

নবাবের দুর্বল নেতৃত্ব এবং অভিজ্ঞতার অভাব:
নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন মাত্র ২৩ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসা এক তরুণ শাসক যিনি রাজ্য পরিচালনার ব্যাপারে অভিজ্ঞতার অভাবে ভুগছিলেন। তার আচরণ, অস্থির মেজাজ এবং কঠোর সিদ্ধান্ত অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে তার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত করে তোলে। তিনি নিজস্ব অনুগামীদের সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হন এবং সেই সুযোগে তার বিরোধীরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন। 

অর্থনৈতিক দুর্বলতা:
নবাব সিরাজউদ্দৌলার সময়ে বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল দুর্বল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়মবহির্ভূত বাণিজ্য কার্যক্রম বাংলার অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এছাড়া সিরাজের দুর্বল প্রশাসনিক দক্ষতা এবং বিরোধীদের ষড়যন্ত্রের সেনাবাহিনীর মনবল দুর্বল হয়ে পড়ে, জাযুদ্ধে তাদের শক্তি ও সামর্থে প্রভাব ফেলে। 

পলাশীরযুদ্ধ এবং সামরিক কৌশলগত ভুল:
পলাশীর যুদ্ধে সিরাজের সামরে কৌশলগত ভুল তার পতনের অন্যতম কারণ। মীরজাফরের মত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের বিশ্বাসঘাতকতা এবং অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে সিরাজ যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হন। সেনাবাহিনীর কৌশলগত ব্যর্থতা তার পরাজয় নিশ্চিত করেন। 

উপরের কারণগুলো মিলে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পটভূমি তৈরি হয়। এই ঘটনাটি শুধু বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস এই নয়, ভারতবর্ষের ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি স্থাপন ও এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ছিল। 

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব

সিরাজউদ্দৌলা নাটকটি ঐতিহাসিক পটভূমিতে রচিত একটি বিখ্যাত নাটক। এটি রচনা করেছেন মনির চৌধুরী, যেখানে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার করুন পরিণতি এবং বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি মূলত সিরাজউদ্দৌলার বীরত্ব, সংগ্রাম, ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া এবং তার দেশপ্রেমকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। এটি ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের প্রেক্ষাপটে লেখা, যা শুধু ইতিহাস নয় বরং তখনকার সমাজ ব্যবস্থা, অভিজাত বর্গের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এবং তৎকালীন বাংলাদেশের জাতীয়তাবোধকে ফুটিয়ে তোলে। 
সিরাজউদ্দৌলা চরিত্রটি সাহসী, দেশপ্রেমিক ও নির্ভীক নেতা হিসেবে চিত্রিত হয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলার নবাব যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন। কিন্তু তার প্রাসাদের অভ্যন্তরে ষড়যন্ত্রকারী এবং বিশ্বাসঘাতকদের উপস্থিতি অন্যের কারণ হয়। বিশেষ করে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় মীরজাফর যিনি ক্ষমতার লোভে ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিয়ে শিরাশিয়া পরাজিত করতে সহযোগিতা করেন। সিরাজের একনিষ্ঠ সহচর এবং বীর যোদ্ধা মোহনলালের চরিত্র নাটকের বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে, যিনি শেষ পর্যন্ত সিরাজের পাশে ছিলেন এবং বীরত্বের সাথে ব্রিটিশদের মোকাবেলা করেন। 

নাটকের আরেকটি প্রধান চরিত্র হচ্ছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি রাওয়াট লাইভ। রবার্ট ক্লাইভের চরিত্রটি এক দিক থেকে নিষ্ঠুর এবং শোষণকারী হিসেবে চিত্রিত, যিনি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কৌশলে বাংলার স্বাধীনতা কে নষ্ট করেন এবং অর্থনৈতিক শোষণ শুরু করেন। ক্লাইভের নেতৃত্বে ব্রিটিশ শক্তিশালী আজকে পরাজিত করে যার ফলে বাংলা স্বাধীনতা বিলীন হয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ে উপমহাদেশে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের শিকড় প্রথিত হয়। 

নাটকের প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশপ্রেম, সততা, আত্মমর্যাদাবোধ ও স্বাধীনতা রক্ষা করতে জীবন উৎসর্গের প্রেরণা দেওয়া। সিরাজউদ্দৌলার জীবন এবং মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নাটকটি বাংলার মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধ এবং স্বাধীনতার গুরুত্বকে বোঝাতে চেয়েছে। ফারুকটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার লোভ এবং বিদেশী শাসকের আগ্রাসন কিভাবে স্বাধীনতার জন্য বিপদজনক। মনির চৌধুরীর এই নাটক বাঙালি জাতির জন্য একটি প্রেরণা স্বরূপ এবং দেশপ্রেমের অমর বার্তা ছড়িয়ে দেয়, যা এখনো দর্শক ও পাঠকদের মুগ্ধ করে। 

নবাব সিরাজদৌলার মৃত্যু কিভাবে হয়েছিল 

নবাব সিরাজউদ্দৌলা, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে পরাজিত হন। যুদ্ধের পর, সিরাজউদ্দৌলা প্রায় এক বছর পালিয়ে ছিলেন, কিন্তু ১৭৫৭ সালে জুলাই মাসে তাকে ধরিয়ে দেয় তারাই এক বিশ্বস্ত মীর মাদান। 

ধরা পড়ে নবাবকে চট্টগ্রাম কেল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। ওই সময় অনেক ইতিহাস বিদ্যার মতে, তাকে হত্যা করা হয় অত্যন্ত নির্মমভাবে। কিছু প্রতিবেদন অনুসারে, সিরাজউদ্দৌলাকে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছিল অন্যদিকে কিছু ঐতিহাসিক দাবি করেন যে তার শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এই হত্যাকান্ডের সঠিক প্রেক্ষাপট ও বিস্তারিত আজও বিতর্কিত। 

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু 

সিরাজউদ্দৌলা নাটক সম্পর্কে অনেকগুলো বিষয় জানা গিয়েছে। আশা করি আপনি আমাদের পোস্ট থেকে সিরাজউদ্দৌলার নাটক সম্পর্কে যা তথ্য পেয়েছেন সেগুলো আপনার বিভিন্ন রকম কাজে দেবে। যেহেতু সিরাজউদ্দৌলা নাটকটা অনেক বড় এবং সম্পূর্ণ নাটক দেখতে অনেক সময়ের ব্যাপার রয়েছে। সেও তো অনেকের কাছে এগুলো নেই তাই অবশ্যই আমাদেরকে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে হবে। 

আলীবর্দী খান ছিলেন বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব। তিনি ১৭৪০ -১৭৫৬ সাল পর্যন্ত তার শাসনকার্য চালিয়েছেন। আলীবর্দী খানের আসল নাম ছিল মীরজা মোহাম্মদ আলী। আলীবর্দী খান ১৭৫৬ সালে ১০ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। আলীবর্দী খায়ের তিনটি কন্যা সন্তান ছিল কোন পুত্র সন্তান ছিল না। 

তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঘসেটি বেগুন। ঘসেটি বেগমের আসল নাম ছিল মেহেরুন্নেসা। মেহেরুন্নেসার সাথে হোসেন কুলি খাওয়া এর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এটা জানার পর আলীবর্দি খা নবাব সিরাজউদ্দৌলা কে হোসেন কুলিকে হত্যা করা নির্দেশ করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা তাকে হত্যা করে। সেজন্য মেহেরুন্নেসা তাঁর প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ ছিলেন। 

নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি ছিলেন মীরজাফর। পলাশীর যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন মীরজাফর। আর এই বিশ্বাসঘাতকতার জন্য সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন। নবাব কে হত্যা করার পর মিরজাফর ১৭৫৭ সালের ২৯ শে জুন ক্ষমতার আসনে বসেন। 

সিরাজউদ্দৌলা একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন, কিন্তু তার অল্প বয়সে রাজ্য পরিচালনা এবং তাকে চক্রান্ত প্রতারণার শিকার হতে হয়। নাটকটি শুধু সিরাজউদ্দৌলার জীবনের নাটকীয় অধিক তুলে ধরে না, বরং ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ এবং ভারতীয় রাজনীতির জটিলতা সম্পর্কে এক গভীর ধারণা দেয়। নাটকটি একটি ইতিহাস ভিত্তিক কাহিনী, যেখানে রাজনীতি, বিশ্বাসঘাতকতা এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে এবং এটি আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় কে চিত্রিত করে। 

সিরাজউদ্দৌলা নাটক সংক্ষিপ্ত 

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং পতন কে কেন্দ্র করে মূলত এই নাটকটি রচনা করা হয়েছে। নাটকের প্রেক্ষাপট শুরু হয় সিরাজউদ্দৌলার শাসনকাল থেকে, যেখানে তাকে একদিকে ইংরেজদের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হয় অন্যদিকে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। নাটকের সিরাজউদ্দৌলার বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসঘাতকদের পদক্ষেপগুলি গুরুত্ব সহকারে চিত্রিত করা হয়েছে। ইংরেজদের সঙ্গে তার শত্রুতা, মিরজা হায়দারের বিশ্বাসঘাতকতা এবং তার আত্মসম্মানের প্রতি সিরাজউদ্দৌলার আনুগত্য নাটকের কেন্দ্রবিন্দু। 
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূল বিষয় তার প্রাচীন বংশপরম্পরা ও দেশপ্রেম অনুপ্রাণিত হয়ে মোঘল শাসকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা, কিন্তু তাকে চিরকালের অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। সিরাজউদ্দৌলে একজন দেশ প্রেমিক শাসক, যিনি দেশের স্বাধিকার রক্ষায় ইংরেজদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসঘাতকতা স্বীকার হয়ে তিনি পরাজিত হন। তার শাসনকালে বাংলা সমাজ ও রাজনীতি অত্যন্ত উত্তাল ছিল যা নাটকটির মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। এই নাটকটি বাংলার ইতিহাসের এক জ্বলন্ত অধ্যায়কে চিত্রিত করে, যেখানে প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও সিরাজউদ্দৌলা তার নীতি ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। 

শেষ কথা: সিরাজউদ্দৌলার নাটক - সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব

উপরে সিরাজদৌলা নাটক ও সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মূলভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি সব কিছু বুঝতে পেরেছেন এবং সব ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। 

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

জানার উপায় ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url