গালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
আপনি কি গালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? ১ দিনে ব্রনের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। নিচে সব বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
কমবেশি প্রত্যেকেরই ব্যক্তির মাঝে ব্রণের সমস্যা হতে দেখা যায়। কিন্তু সঠিক উপায় ও কৌশল জেনে না রাখার অভাবে আমরা খুব সহজে আমাদের দেহ থেকে ব্রণ দূর করতে পারি না। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আজকের এই পোস্টে আমরা গালে ব্রণ অভ্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন উপস্থাপন করব। আপনি মনোযোগ সহকারে পুরো পোস্টে পড়লে আশা করি ব্রণ সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন আপনার জানা বাকি থাকবে না ।
পেজ সূচিপত্রঃ গালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
ব্রণ সৃষ্টি হওয়ার কারণ
গালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানতে হবে ব্রণ কিভাবে সৃষ্টি হয়। ব্রণ আমাদের অধিকাংশ মানুষের মধ্যে হয়ে থাকে।কিন্তু কেন হয় এই সম্পর্কে আমরা জানিনা। চলুন জেনে নেই। ব্রণ বা অ্যাকনের প্রধান কারণ হলো ত্বকের সিবাম গ্রন্থি(তৈল গ্রন্থি) থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ, যা ত্বকের রোমকূপে জমা করে ব্রণ সৃষ্টি করে। সাধারণত হরমোনের পরিবর্তন, যেমন বয়ঃসন্ধিকাল, গর্ভাবস্থায়, বা মাসিক চক্র হরমোনের উঠানামা, ব্রণের জন্য দায়ী।
তেল, ময়লা এবং মৃত কোষ ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দিলে ব্যাকটেরিয়া সহজেই বেড়ে ওঠে। এটি প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা ত্বকে লালচে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস রূপ নিতে পারে। অসাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস, যেমন অতিরিক্ত চিনি বা চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ, স্ট্রেস এবং পর্যাপ্ত পানি পান না করাও আপনার ব্রণ বাড়াতে পারে। অনেক সময় মেকআপ, সানস্ক্রিন বা ত্বকের পণ্য ব্যবহারের কারণে রোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রণ হয়। তাছাড়া, বংশগত প্রভাব বা ত্বকের প্রতি অবহেলা এটি তৈরিতে ভূমিকা রাখে। নিচে আপনাদের জানানো হবে যে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো সম্পর্কে। সহকারে নিচে পড়তে থাকুন।
১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
গালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে নিচের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ব্রণের দাগ দূর করা একদিনের মধ্যে সম্ভব নয়, তবে দাগ হালকা করার জন্য দ্রুত কার্যকর কিছু উপায় অনুসরণ করা যায়। নিচে আপনাদের জন্য কিছু প্রাকৃতিক ও কার্যকর পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো:
লেবুর রস ব্যবহার করুন: লেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড থাকে, যা ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি:
- একটি তাজা লেবুর রস বের করুন।
- তুলার সাহায্যে দাগের উপর লাগান।
- ১০ মিনিট রেখে হালে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা: লেবু সরাসরি ব্যবহার করলে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই আগে প্যাচ টেস্ট করুন।
অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা ত্বকের প্রদাহ কমাতে ও পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি:
- তাজা অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল বের করুন।
- দাগ যুক্ত স্থানে রেখে সারারাত রেখে দিন।
- সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
মধু ও দারুচিনি মিশ্রণ: মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল এবং দারুচিনি ত্বকের কোষ পুনরায় গঠনের সহায়ক।
পদ্ধতি:
- ১ চামচ মধু ও আদা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
- ব্রণের দাগের উপর লাগান এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
বরফ ঘষা: বরফ ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং প্রদাহকময়।
পদ্ধতি:
- একটি পরিষ্কার কাপড় এ বরফ নিয়ে দাগের উপর ৫-১০ মিনিট ঘষুন।
টমেটো মাক্স: টমেটোতে লাইকোপিন থাকে যা ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি:
- টমেটোর রস বের করে দাগের উপর লাগান।
- ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো: কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটি উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণে আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণ দূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
তুলসী পাতার রস: বনের জন্য তুলসী পাতার রস খুব উপকারে। কারণ তুলসী পাতায় আছে আয়ুর্বেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসী পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সচেতনতা:
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করবেন।
- সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।
- প্রাকৃতিক উপায় গুলো ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করবেন।
এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করলে দাগ দ্রুত হালকা হতে পারে। তবে পুরোপুরি দূর করতে সময় লাগতে পারে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
যে কোন ঋতুতে ত্বক সুস্থ রাখতে প্রয়োজন সঠিক যত্নের। আলাদা আলাদা ত্বকের সমস্যাও থাকে আলাদা, যত্নের পদ্ধতি ও আলাদা। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের ভোগান্তি একটু বেশি। তারা বোঝেন কতটুকু। রাস্তায় বের হলেই মুখে ময়লা জমে একাকার হয়ে যায়। বাইরের ধুলা ময়লা তৈলাক্ত ত্বকে আটকে গিয়ে দেখা দেয় নানা সমস্যা। এর মধ্যে ব্রণের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বাইরের রাসায়নিক শ্রমিক পণ্যের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদান গুলো বেশ কার্যকরী। তবে, এটি একটি ধৈর্যের প্রক্রিয়া কারণ দাগ দূর হতে সময় লাগে। আসুন জেনে নেই প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের বর্ণের দাগ দূর করার উপায় :
বেসনের ফেসপ্যাক:
যা যা লাগবে:
- বেসন - ২ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া - ১ চিমটি
- লেবুর রস - ১ চা চামচ
- গোলাপজল বা দুধ - পরিমাণ মতো
তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি:
- একটি পরিষ্কার পাত্রে বেসন ও হলুদ গুঁড়ো মেশান।
- এর সাথে লেবুর রস দিন।
- মিশ্রণটি পাতলা করতে গোলাপজল বা দুধ দিন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য গোলাপজল ভালো হবে।
- সব উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
- পেস্টটি মুখে ও গলায় সমানভাবে লাগান।
- ১৫-২০ মিনিট শুকাতে দিন।
- শুকানোর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতোভাবে স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারের নিয়ম:
- সপ্তাহে ২-৩ বারে প্যাক ব্যবহার করুন।
- ব্যবহার করার পর মশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
সতর্কতা:
- প্রথমবার ব্যবহার করার আগে একটি প্যাচ তৈরি করুন, কারণ লেবুর রস সংবেদনশীল ত্বকে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
- খুব বেশি ঘষবেন না, এতে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কমলার ফেসপ্যাক:
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে কমলার ফেসপ্যাক খুবই কার্যকর একটি উপায়। কমলাই ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড থাকে, যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ব্রনের দাগ কমাতে সাহায্য করে। নিচে একটি সহজ এবং কার্যকর কমলার ফেসপ্যাক তৈরীর প্রক্রিয়া দেওয়া হল:
উপকরণ:
কমলার খোসার গুড়া : ২ টেবিল চামচ (কমলার খোসা শুকিয়ে গুড়া করে নিন)
মধু - ১ চা চামচ
দই (টক দই) - ১ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
- একটি পরিষ্কার পাত্রে কমলার খোসার গুড়া নিন।
- এতে মধু এবং দই মিশিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন।
- ফেসপ্যাকটি পরিস্কার মুখে সমানভাবে লাগান।
- ১৫-২০ মিনিট শুকাতে দিন।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো ভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারের নিয়ম:
- সপ্তাহে ২-৩ বার এই ফেসটা একটি ব্যবহার করুন।
- এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করবে, দাহ কমাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল করবে।
পাকা কলার ফেসপ্যাক:
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে পাকা কলার ফেসপ্যাক বেশ কার্যকর হতে পারে। পাকা কলা প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং এতে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। নিচে একটি সহজ এবং কার্যকর পাওয়া গলার ফেসপ্যাক তৈরির পদ্ধতি দেওয়া হলো:
উপাদান:
- পাকা কলা - ১ টি (মাঝারি আকারের)
- মধু - ১ চা চামচ
- লেবুর রস - ১/২ চামচ
প্রস্তুত প্রণালী:
- পাকা কলা ভালোভাবে চটকিয়ে নিন যাতে মসৃণ পেস্ট তৈরি হয়।
- এতে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
- এই মিশ্রণটি ত্বকের সমানভাবে লাগান। বিশেষ করে ব্রণের দাগ রয়েছে এমন জায়গায় ভালোভাবে ব্যবহার করুন।
- ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ব্যবহারের নির্দেশনা:
- সপ্তাহে দুই তিনবার ব্যবহার করুন।
- ব্যবহার করার আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
- যাদের ত্বক খুব সংবেদনশীল, তারা আগে লেবুর রস বাদ দিয়ে ব্যবহার করে দেখুন।
শসার প্যাক:
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে শসার প্যাক একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকারী উপায়। শসা ত্বকে শান্ত করে এবং ব্রনের দাগ হালকা করতে সহায়তা করে, কারণ এটি প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের টোন সমান রাখে। নিচে শসার প্যাক তৈরির একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:
শসার-প্যাক তৈরির উপকরণ :
- ১টি তাজা শশা।
- একটি চা চামচ মধু (ঐচ্ছিক, ত্বক মসৃণ করার জন্য)।
- ১ চা চামচ লেবুর রস (ঐচ্ছিক, ব্রণের দাগের জন্য)
পদ্ধতি:
- প্রথমে শসা ধুয়ে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
- এরপর একটি ব্লেন্ডার এর শসার টুকরো গুলোর দিন এবং তা ভালোভাবে পেস্ট করে নিন।
- পেস্টে ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ লেবুর রস যোগ করে মিশিয়ে নিন।
- প্রস্তুত ব্যক্তি আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগান, বিশেষত ব্রনের দাগের জায়গায়।
- ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে প্র্যাকটি শুকিয়ে যায়।
- পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
গালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে আপনার ওপরে জেনেছেন এখন আপনাদের জানাবো লেবু দিয়ে কিভাবে ব্রণ দূর করা যায়। লেবু একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ব্রণের সমস্যার সমাধানে অনেক সহায়ক হতে পারে। এটি তার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, আন্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যাসিডিক গুনাগুনের জন্য পরিচিত। লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার কয়েকটি কার্যকর উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো:
লেবুর রস এবং মধু: লেবুর রসের মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ব্রণের জীবাণু ধ্বংস করতে সহায়ক। এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। মধু আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে, এবং লেবু আপনার ত্বকের পোর খুলে দেওয়া ও জীবাণু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।- লেবু ও টুথপেস্ট: টুথপেস্টে থাকা উপাদানগুলো ব্রনের উপর লেবুর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণের সাথে মিশে কাজ করতে পারে। এক টুকরো টুথপেস্টে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণের উপরে লাগান। ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার ব্রণ শুকিয়ে দিবে এবং নতুন ব্রণ তৈরির সম্ভাবনা কমিয়ে দিবে।
- লেবু ও জল: এক কাপ পানিতে কিছু ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে ত্বকের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায়, যা ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। এটি শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করে।
- লেবুর খোসা: লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে ব্যবহার করতে পারেন। এই গুড়ো জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্রণের ওপর প্রয়োগ করলে আপনার ত্বক পরিষ্কার হবে এবং ব্রণ কমে যাবে।
তবে লেবু ব্যবহার করার আগে সবার ত্বক একরকম নয়, তাই প্রথমে ছোট্ট একটি অংশে পরীক্ষা করে দেখুন। যে আপনার তোকে লেবুর রস দিলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কিনা। অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে, তাই পরিমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।
ব্রণের বিরুদ্ধে সতর্কতা
বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা প্রধানত গালে ব্রণ অভ্রনের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনেছি। আপনারা চাইলে ব্রণের বিরুদ্ধে পূর্ব থেকে বেশ কিছু সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। ব্রোল এক ধরনের ত্বকের সমস্যা যা মূলত ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রগুলোতে তেল, ময়লা এবং মৃত টক্কস জমে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধির কারণে সৃষ্টি হয়। এটি সাধারণত মুখ, পিঠ, গলা, কাজ ও বুকে দেখা যায়। ব্রণ থেকে বাঁচতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী :
- মুখ পরিষ্কার রাখা: প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি বার মুখ পরিষ্কার করুন। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে।
- মুখে হাত না দেওয়া: অযথা মুখে হাত দেওয়া বা চাপ দেওয়া ব্রণের সৃষ্টি বাড়াতে পারে। হাতের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া মুখে সরাতে পারে, যা ব্রণ সৃষ্টি করতে সহায়ক হয়।
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস: অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার ও মিষ্টি জাতীয় খাবার ব্রণ বাড়াতে পারে। তাই আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন ফল, শাকসবজি এবং প্রচুর পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
- সঠিক স্কিন কেয়ার পন্য ব্যবহার: ব্রনের জন্য উপযুক্ত স্কিন কেয়ার পণ্য নির্বাচন করুন, যেমন নন-কমেডোজেনিক পণ্য, যা ত্বকের ছিদ্র বন্ধ করে না।
- স্ট্রেস কমানো: মানসিক চাপ ব্রনের সৃষ্টি বাড়াতে পারে, তাই স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন, সখ বা পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
- পেশাদার ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: ব্রণ বেশি হলে আপনি ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন, যাতে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায়।
শেষ কথা: গালে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায়
উপরে গালে ব্রণ অবরণের দাগ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝেছেন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং এরকম আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
জানার উপায় ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url